‘পাহাড়ি-বাঙালি’ সংঘর্ষ ও চারজন নিহতের ঘটনার পর বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে। সে উত্তেজনা কমে এখন অনেকটাই শান্ত হয়েছে পাহাড়। তবে এক ধরনের আতঙ্ক রয়ে গেছে স্থানীয়দের মাঝে।
সহিংসতার পর থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি দুই জেলা শহরে পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও তুলনামূলক শান্ত সময় পার করেছে। হত্যার প্রতিবাদে শনিবার ডাকা অবরোধে কোথাও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও মানুষজনের চলাচল ছিল তুলনামূলক কম।
সহিংসতার পরে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথে অবরোধের দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ আছে। তবে নিত্যপণ্যের কিছু দোকান ও বাজার খুলেছে। অবরোধে শহরে গণপরিবহন না চললেও হালকা যানবাহন সকাল থেকে চলাচল করছে। সড়কে মানুষের চলাচলও বেড়েছে।
বান্দরবানে অবরোধের প্রভাব নেই। দোকানপাট খোলা রয়েছে, শহরের ভেতরে যানবাহনও চলাচল করছে।
তবে এই তিন পার্বত্য জেলা থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস যাওয়া আসা করেনি। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
যানবাহন না চলায় প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছে। ফেরার জন্য অনেকেই প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। সহিংসতার কারণে পর্যটন ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবারের সহিংসতায় খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ৪ জন নিহত হয়।